নিজস্ব প্রতিবেদক: আর ব্যাংকে গিয়ে ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর) পরিশোধ করতে হবে না। ঘরে বসে বা যেকোনো জায়গা থেকে অনলাইনে ভ্যাট পরিশোধ করা যাবে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)-এর অনলাইনভিত্তিক ভ্যাট প্রদান ব্যবস্থার উদ্বোধন করার কথা রয়েছে। এ বিষয়ে গত ১৩ জুলাই এনবিআর দ্বিতীয় সচিব রেজাউল হাসান সাক্ষরিত এক আদেশ করা হয়েছে।
ভ্যাট অনলাইন প্রকল্পের পরিচালক কাজী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আগামী ১৬ জুলাই (বৃহস্পতিবার) অনলাইনে ভ্যাট প্রদান পদ্ধতির উদ্বোধন হবে। এর ফলে কোনো ধরনের হয়রানি ছাড়াই সকলে অনলাইনে ভ্যাট পরিশোধের সুযোগ পাবে। অনলাইনে ভ্যাট নিবন্ধন নেওয়া সকল প্রতিষ্ঠান অনলাইনে ভ্যাট পরিশোধের সুযোগ পাবে। প্রাথমিকভাবে এইচএসবিসি, মিডল্যান্ড, প্রাইম ব্যাংকসহ পাঁচটি ব্যাংকের মাধ্যমে এব্যবস্থা শুরু হবে। পরবর্তীতে ধাপে ধাপে আরো ব্যাংকের মাধ্যমে অনলাইনে ভ্যাট দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে।
এনবিআরের আদেশে বলা হয়েছে, ‘অনলাইনে ভ্যাট পরিশোধ করার পর ব্যবসায়ীরা মোবাইল ফোনে যে নোটিফিকেশন যাবে, তা যাচাই করে ভ্যাট প্রদানের চালান হিসেবে গণ্য করা হবে।’
আদেশে আরো বলা হয়, ‘করদাতা ভ্যাটের অর্থ পরিশোধের জন্য ব্যাংকে অনুরোধ বার্তা পাঠানোর পর সংশ্লিষ্ট বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে তা জমা (ট্রেজারি ডিপোজিট) হবে। এরপর বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তা এনবিআরে রক্ষিত সমন্বিত ভ্যাট প্রশাসন পদ্ধতির (আইভিএএস) তথ্য ভান্ডারে আসবে। আইভিএএস থেকে চালান নম্বরসহ তা করদাতা, সংশ্লিষ্ট ভ্যাট অফিস, সরকারের মহা হিসাব নিরীক্ষকের কার্যালয়ে (সিএজি) এ সংক্রান্ত নোটিফিকেশন যাবে।
এই ইলেক্ট্রনিক নোটিফিকেশনে উল্লিখিত চালান নম্বর, তারিখ, কমিশনারেট অফিসের কোড এবং জমাকৃত অর্থের পরিমাণ সিএজি অফিস থেকে যাচাই করে তা সঠিক পাওয়া গেলে ভ্যাট অফিস ট্রেজারি চালানের বিকল্প হিসেবে তা গ্রহণ করবে।’
ভ্যাট অনলাইন প্রকল্পের মাধ্যমে এ কার্যক্রমটি বাস্তবায়ন এবং পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এরই মধ্যে অনলাইনে ভ্যাট রিটার্ন (প্রতি মাসের বিক্রির হিসাব) দাখিলের কাজ শুরু হয়েছে। বর্তমানে এনবিআরে ১ লাখ ৬০ হাজারের ওপরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অনলাইনে ভ্যাট নিবন্ধন গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে ৪০ হাজারের মতো প্রতিষ্ঠান প্রতি মাসে রিটার্ন জমা দিয়েছে।